টাকা পয়সা পৃথিবীতে কে না চায়। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, যে কোন বয়েসেই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবারই টাকা চাই। এই টাকার জন্যই মানুষের দিনভর ছুটে চলা। যেমন করেই হোক, দিন শেষে কিংবা মাস শেষে – চাই কিছু টাকা।
জীবন আটকে গেছে এই টাকার চক্করে। মাস শেষ না হতেই হাজির হতে থাকে বিল পেমেন্টের লিস্ট – ইলেক্ট্রিসিটির বিল, পানির বিল, গ্যাসের বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিল। আরও যে কতো কি।
যাদের ব্যাঙ্ক লোন নেয়া আছে, তাদের মাথার উপর চলে আসে বাড়ির মর্টগেজ কিংবা কিস্তির চাপ। বাচ্চা কাচ্চা থাকলে ইস্কুলের ফিস, কোচিং এর ফিস, বাড়ির হোম টিউটরের বেতন। বাসায় কাজের মানুষ থাকলে তাদের বেতন। একটার পর একটা আসতেই থাকে।
মনের মধ্যে একটা হাঁফ ধরে যায় – আর কতো টাকা লাগবে?
অন্যদিকে যাদের নিজের ব্যবসা আছে, তাদের কথা আর নাই বললাম। সেখানে মাস শেষে এই চাপ আরও বেশি। কয়েক হাজার টন বেশি।
টাকা আর টাকা। এই টাকা ছাড়া দু’পা এগুবার যেন আর কোন পথ নেই। শান্তি মতো নিঃশ্বাস নেবার সুযোগ নেই।
কিন্তু, পৃথিবীতে তো একসময় এই টাকা নামের কিছুই ছিলো না। মানুষ তখন চলতো কি করে? কেমন করে চলে এলো এই “আকর্ষণীয় গরম” জিনিসটা?
আর সবচে অবাক করা বিষয়, এই পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র অভাগা প্রাণী যার বেঁচে থাকার জন্য টাকার প্রয়োজন। অন্য কোন প্রানীর একটা টাকাও দরকার নেই। কি অদ্ভুত!
কদিন আগে কোথায় যেন দেখলাম, এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা প্রায় ৮৭ লাখ প্রজাতির প্রাণী চিহ্নিত করেছেন। এতো লক্ষ লক্ষ প্রানী পৃথিবীতে বেঁচে আছে, কিন্তু কারো বেঁচে থাকতে একটা টাকাও লাগে না। ব্যাপারটা আমাকে প্রায়ই একটা ভাবনার মধ্যে ফেলে দেয়। মনে হয়, প্রকৃতির পুরো সিস্টেমের মধ্যে কোথায় টাকা পয়সার খেলা নেই – তবে মানুষের মধ্যে এই জিনিস নিয়ে এতো খেলা, এতো প্যারা শুরু হয়ে গেলো কি করে।
ভাবতে ভাবতে পৌঁছে গেলাম খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সালে।
এই সময় লিডিয়া অঞ্চলে (বর্তমান তুরস্ক) প্রথম মুদ্রা দেখা পাই। সেই সময়টায় লিডিয়ার রাজা ছিলেন আলিয়াটেস। উনার রাজত্বকালে প্রথম ধাতব মুদ্রা চালু হয়। কাগজের নোট মানে টাকা তখনও তৈরি হয়নি।
লিডিয়াতে তখন যে ম্যাটেরিয়াল দিয়ে পয়সাগুলো বানাতো, সেটার নাম ছিলো – ইলেকট্রাম। এটার মধ্যে সোনা আর রুপার একটা মিশেল ছিলো।
এখন কথা হলো, এই মুদ্রা বানানোর কি দরকারটা ছিলো। এটা যে জীবনে যন্ত্রণা তৈরি করবে সেটা কি কেউ একবারও ভাবলো না।
আসলে, জীবনের গতিপথ এমনই। যখন আমাদের যেটা প্রয়োজন হয়, তখন আমরা সেটাই করি। তখন সময়ের প্রয়োজন ছিলো মুদ্রা তৈরি করার।
কারণটা বলি। এই মুদ্রা বা পয়সা কিংবা টাকা, এগুলো আসলে কি? এগুলো হলো অর্থের ইউনিট বা একটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। যেটা দিয়ে আমরা কিছু “বিনিময়” করতে পারি।
কেউ একটা জিনিস বেচবে, কিংবা কেউ একটা জিনিস কিনবে – তাহলে সেটার দাম কতো হবে? দাম ঠিক হলো, এখন জিনিসটা দাম পরিশোধ তো করতে হবে, সেটা কি দিয়ে হবে। ব্যাস, চলে এলো – মুদ্রা।
মুদ্রা আসার আগে দারুন একটা সিস্টেম ছিলো এই আদান প্রদানের। একটু আগে আমি যে শব্দটা লিখলাম “বিনিময়” অর্থাৎ লেনদেন – এই বিনিময় প্রথাটাই ছিলো মানুষের মধ্যে আদান প্রদানের একটা মাধ্যম। সেটার নাম হলো – “বিনিময় পদ্ধতি বা বার্টার সিস্টেম”।
বিনিময় পদ্ধতি এটা সম্পুর্ণ একটা অর্থহীন বা মুদ্রাহীন লেনদেন ব্যবস্থা। এখানে দুই পক্ষ তাদের কাছে থাকা জিনিসপত্র বা সেবা বিনিময় করে। যার কাছে যেটা আছে, সে সেটার বিনিময়ে অন্য কিছু নিয়ে নিতে পারে।
যেমন, কারো আমের গাছ আছে। সে তার গাছের কিছু আম দিয়ে অন্যকারো কাছ থেকে কিছু ধান নিয়ে নিলো। এখানে আমি “নিয়ে নিলো” লিখালাম “কিনে নিলো” না। মানে তখন কেনার ব্যাপারটাই ছিলো না। খুব সুন্দর একটা সিস্টেম।
যার যেটা ভালো লাগতো, সে সেটাই করতো। তার নিজের কাছে যেটা আছে, সেটা অন্যকে দিয়ে তার প্রয়োজনের জিনিস নিয়ে আসতো।
এই সময়ে যদি এই বিনিময় পদ্ধতিটা ঠিক মতো চালু থাকতো, তবে আমি এখন কি করতাম। হয়তো যে ধান চাষ করছে, তার যদি পেইন্টিং পছন্দ হয় তবে আমার আঁকানো একটা ছবি দিয়ে ধান নিয়ে আসতাম। যদি তার গল্প শুনতে ভালো লাগে, তবে ঘন্টা খানেক গল্প শুনিয়ে এক বস্তা ধান নিয়ে আসতাম।
আমাদের মধ্যে কোন টাকা-পয়সার আদানপ্রদান হতো না। শুধুমাত্র যার কাছে যেটা আছে, সেটার বিনিময় হতো।
ব্যাপারটা দারুন না!
কিন্তু, মানুষ এভাবে বেশিদিন চলতে পারেনি।
কেন পারেনি, তার বেশ কয়েকটা কারণ আছে।
প্রথমত, এই বিনিময় পদ্ধতিতে দুই পক্ষের চাহিদা মিলতে হবে। যখন দেখা গেলো, কিছু জিনিসের চাহিদা বেশি, আবার কিছু জিনিসের কম। শুরু হয়ে গেলো ইকোনোমিক্সের “ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাই” – এর খেলা। যে জিনিসের ডিমান্ড বেশি সেটার সাপ্লাই যদি কম থাকে, তাহলে যার কাছে “সেই জিনিসটা” আছে তার তো মনেই হবে আমি তো এটা “বেশি জিনিস” নিয়ে দিতেই পারি।
মানুষের মন খুবই জটিল একটা ম্যাট্রিক্সে চলে।
ষড়রিপুর টিউনিং একেক মানুষের মধ্যে একেক রকমের। কার ভেতর থেকে যে কোন টিউনিং এ কোন মিউজিক কখন বের হবে, বোঝা বড় মুশকিল।
যাইহোক, এই ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাই – এর চক্করে ধীরে ধীরে বিনিময় পদ্ধতিটা বিলুপ্ত হয়ে যায়। মানুষ নতুন একটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা ভাবতে শুরু করে। এরপর প্রথমে আসে ব্রোঞ্জের তৈরি প্রতিকী মুদ্রা। আর তারপরে, চালু হয় সোনা কিংবা রূপা দিয়ে বানানো মূল্যবান ধাতুর মুদ্রা।
আমি আসলে মুদ্রার ইতিহাস নিয়ে লিখতে বসি নাই। তাই, এটা নিয়ে আর বেশি কিছু লিখবো না। তবে, যেটা নিয়ে আমার ভাবনাটা গড়াচ্ছিলো, সেদিকে যাই –
এই যে পৃথিবীতে একমাত্র মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণী মুদ্রা ব্যবহার করে না। নিজের জন্য বাসা কিনে না, টাকা দিয়ে কিছু কিনতে হয় না, তবুও তাদের জীবন সুন্দর চলে যাচ্ছে।
শুধু সুন্দর বললে অর্ধেক বলা হবে। বলতে হয় – সুন্দর আর শান্তিতে চলে যাচ্ছে।
কিন্তু, কিভাবে? কারণটা কি?
টাকা পয়সা ছাড়া পৃথিবীর এতো এতো প্রাণী কি করে চলছে? সেদিকে একটু যাই।
পৃথিবীর সব প্রাণীই সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে চলে। তারা খাদ্য, আশ্রয়, এবং জীবনধারণের জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছু প্রকৃতি থেকেই নিয়ে নেয়। প্রকৃতির সাথে তাদের সম্পর্কটা খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ, মানে ব্যালেন্সড। তারা শুধু তাদের প্রয়োজন অনুযায়ীই নেয়। একারণে, তাদের কোনো অতিরিক্ত চাহিদা বা সম্পদের প্রয়োজন পড়ে না।
কিন্তু, মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। বেশিরভাগ মানুষ তার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি নিতে চায়। সম্পদ বানাতে চায়। অনেক সময় নিজের প্রয়োজনটুকুও বুঝতে পারে না। লোভ, লালসা, ইর্ষা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে যায় যে নিজের জন্য যা দরকার নেই, সেটাও পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তাতে কি হয় – প্রাকৃতিক ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়।
মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীদের মধ্যে প্রক্রিয়াটা একদমই উল্টো। তাদের মধ্যে অতিরিক্ত চাহিদার ব্যাপারটা একদমই নেই। মানুষের মতো প্রাণীরা অতিরিক্ত সঞ্চয় বা ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করে না। তারা জীবনযাপন করে – বর্তমানে।
আজকে কি খাবো, আজকে কি করে বাঁচবো, আজকে কি করে ভালো থাকবো, আজকে কি করে সুন্দর থাকবো – এই ভাবনাটাই চলে তাদের ভেতর।
আপনার এখন মনে হতে পারে – কই, আমি তো অনেক প্রাণী দেখি যারা ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করে। এই যেমন – পিঁপড়া, মৌমাছি, কাঠবেড়ালী। এরা তো হেবি সেয়ানা প্রাণী। পিঁপড়া বৃষ্টির আগে খাবার জমিয়ে রাখে। মৌমাছি মধু তুলে এনে মৌচাক বানিয়ে ফেলে।
তাহলে ব্যাপারটা কি?
ব্যাপারটা হলো, এতো প্রাণীর ভেতর কিছু কিছু প্রাণীতে কিছুটা বৈচিত্র্য আর ব্যতিক্রম থাকাটা খুব স্বাভাবিক। তারপরও, মানুষ আর এই প্রানীগুলোর মধ্যে সঞ্চয়ের এই প্রক্রিয়া মানুষের মতন না। এখানে ব্যাপারটা ঘটে একটু ভিন্ন ভাবে।
পিঁপড়ারা ভবিষ্যতের জন্য খাবার সঞ্চয় করে। এটা তাদের প্রাকৃতিক প্রবৃত্তির অংশ। কিন্তু, তারা সচেতনভাবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কারণে করে না।
কিন্তু, মানুষের ক্ষেত্রে খাবার সঞ্চয়, সম্পদ তৈরি করা কিংবা ভবিষ্যতের জন্য অর্থ জমা করাটা শুধু একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি না। বরং মানুষ এটা করে খুব সচেতন ভাবে, চিন্তা ভাবনা ও পরিকল্পনা করে। শুধু তাই না, মানুষের মধ্যে দূরদর্শিতা কাজ করে। সেখান থেকেও সে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে, চিন্তা করে।
পিঁপড়ার মধ্যে কিন্তু এই চিন্তাভাবনা নেই। তারা যেটা করে সেটা তাদের প্রাকৃতিক রুটিন মাফিক কাজ। আর, মানুষেরটা সচেতন মস্তিষ্কের পরিকল্পনা ও হিসাব-নিকাশের ফলাফল।
যাইহোক, মূল আড্ডায় ফিরে আসি।
যেটা বলছিলাম – প্রাণীরা বেঁচে থাকে বর্তমানে। তাদের ভাবনা চিন্তাও বর্তমান নিয়ে।
কিন্তু, মানুষ অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ তিন জায়গাতেই থাকে। ভাবতে পারে, চিন্তা করতে পারে, পরিকল্পনা করতে পারে।
তাই, ভয় থেকেই হোক আর নিরাপত্তার কথা ভেবেই হোক – মানুষ সঞ্চয় করতে চায় – সচেতনভাবে কিংবা অবচেতনভাবে। আর, সেখান থেকেই মুদ্রা দিয়ে বিনিময় আর সম্পদের তৈরি করার ধারণা মানুষের মাথায় এসেছে।
কিন্তু প্রাণীরা যেহেতু “বর্তমানে” বেঁচে থাকে এবং তাদের জন্য আগামীকালের চিন্তা, সঞ্চয়, সম্পদ কিংবা টাকা পয়সার প্রয়োজন হয় না।
মানুষের চাহিদা এবং ইচ্ছাগুলো আসলে খুবই জটিল। কেমন একটু বলি।
আমরা কেবল খাবার, আশ্রয়, এবং নিরাপত্তা চাই না। আমরা আরাম চাই, বিলাসিতা চাই, সাথে সাথে সামাজিক সম্মানটাও প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
আর, এই টাকা-পয়সার মাধ্যমে আমরা আমাদের এই চাহিদাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করি। সম্পদের মাধ্যমে সামাজিক অবস্থান আর প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার চেষ্টা করি।
অন্য প্রাণীদের জীবনে এই প্যারা নেই। তাই তাদের ধন, সম্পদ, টাকাপয়সারও কোনো দরকার পড়ে না।
মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক চাপ, প্রতিযোগিতা, এবং সামাজিক প্রত্যাশা অনেক বেশি।
কিন্তু, অন্য প্রাণীরা চলে প্রকৃতির নিয়মে । সেখানে অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তার কোনো জায়গা নেই। তাদের বাড়তি কোন বড়াই নেই, লোকদেখানো সাজসজ্জা নেই, সম্পদের পাহাড় নেই, পয়সার ঝনঝনানি নেই, ব্যাঙ্ক লোনের চাপ নেই, বিদ্যুৎ বিলের চিন্তা নেই, ব্যালেন্স সিটে ডেবিট ক্রেডিট মেলানোর যন্ত্রণা নেই। তাদের কাছে সবকিছু সহজ, স্বাভাবিক, এবং প্রাকৃতিক।
আমাদের জীবনের জটিলতাগুলো হয়তো সৃষ্টির আর উন্নতির জন্য প্রয়োজন। কিন্তু জীবনের এই চাওয়াগুলো আমাদের মানসিক চাপও বাড়িয়ে দেয়। প্রাণীদের জীবন যেহেতু সহজ আর সরল। তাই, তারা এই চাপ থেকে মুক্ত থাকে। কি একটা প্রশান্তি, তাই না!
মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীরা স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতির নিয়ম মেনে জীবনযাপন করে। তারা তৃপ্তি খুঁজে পায় সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়ে।
কিন্তু মানুষের জন্য জীবন বড্ড প্যাঁচানো। তাই, আমাদের জন্য সুখ খুঁজে পাওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়।
টাকা-পয়সা, সম্পদ, এবং ক্ষমতা আমাদের জীবনকে হয়তো নতুন একটা মাত্রা দিয়েছে। অন্য প্রাণীদের থেকে বিলাসবহুল ভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে দিচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলোর জন্যই আমাদের জীবনে নেমে এসেছে – মানসিক উদ্বেগ, অশান্তি আর অসন্তুষ্টি।
তাই, আমি যখনই কোন একটা মুদ্রার দিকে তাকাই। হোক সেটা ধাতব পয়সা, কাগজের নোট, ক্রেডিট কার্ড কিংবা ক্রিপ্টোকারেন্সি।
তখন আমার মনে হয় – আমরা যদি আমাদের অতিরিক্ত চাহিদা, ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক প্রতিযোগিতা, এবং অর্থনৈতিক চাপ কমিয়ে ফেলি।
আমরা যদি আমরা সহজ, সরল এবং প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারি। তাহলে হয়তো আমরা আরও বেশি তৃপ্ত এবং শান্তিপূর্ণ জীবন পেতে পারি।
মুদ্রা ছাড়া আমাদের এই জীবনে বেঁচে থাকাটা অসম্ভব।
প্রকৃতি বাইরে আমরা কখনো যেতে পারবো না।
প্রশান্তি ছাড়া বেঁচে থাকাটা অর্থহীন।
তাই, মুদ্রা – প্রকৃতি – প্রশান্তি – এই তিনটাকে এক সুতায়, এক সুরে বেঁধেই আমাদের হয়তো বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে।
প্রয়োজন শুধু ব্যালেন্সের।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকা