আমার হাতে,
তোমার হাতটা একটু রাখবে,
আমার হৃদপিণ্ডটা,
তোমার হাতের সেই ছোঁয়ার জন্য ছটফট করছে।
বড্ড বেশি অশান্ত হয়ে আছে মন –
দুমড়ে গেছে, মুচড়ে গেছে,
ভেঙ্গে ভেঙ্গে টুকরো গেছে,
পুড়ে পুড়ে স্ফুলিঙ্গ হয়ে,
মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে ।
প্রচণ্ড রক্তিম হয়ে আছে – দাবানলের মতোন,
প্রচণ্ড অশান্ত হয়ে আছে – কাল বোশেখি ঝড়ের মতোন,
প্রচন্ড উত্তাল হয়ে আছে – ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে পড়া রক্তের মতোন।
জ্বলছে মস্তিস্কের ভেতরটাও,
প্রতিটা স্নায়ু, প্রতিটা কোষ,
মনে হয়,
কেউ যেন রক্তে আগুনের বিষ মিশিয়ে দিয়েছে,
শিরা উপশিরা ধমনী দিয়ে ছুটছে বেড়াচ্ছে গরম লাভা,
দ্রুত গতির ট্রেনের মতো ঝন ঝন বাজছে বুকে খাঁচাটা।
বেঁচে থাকার জন্য – তোমার হাতটা একটু দরকার
আমার আঙ্গুলের মাঝে, তোমার আঙ্গুলগুলো ডুবিয়ে দাও,
আমার মাথার চুলে বিলি কেটে দাও।
বরফের স্রোত হয়ে উঠুক তোমার আঙ্গুলের স্পর্শ,
চামড়া মোড়ানো খুলিতে লাঙ্গল হয়ে ঢুকে পড়ো,
ঘুমের স্পর্শ হয়ে নেমে আসো –
আমার দুচোখে।
আমি ক্লান্ত,
পাগলের মতো উদ্ভ্রান্ত
বারবার পথ হারিয়ে ফেলছি
ঘুমোতে পারছি না – দিনের পর দিন।
বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টায়
তোমার সেই হাতটা আবার চাই,
সুখ দরকার নেই-
ঝরিয়ে দাও,
শান্তির এক পশলা বৃষ্টি
মনের বারান্দায়।