কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সাথে আমার সামনাসামনি দেখা হয়েছে বেশ কয়েকবার – কখনো উনার ঢাকার অ্যাপার্টমেন্টে, কখনো বিটিভি’র কোন কনফারেন্সে রুমে – তবে সবচে বেশি দেখা হয়েছে বইমেলায়।

নব্বইয়ের দশক, সেই সময়টায় আমি পুরোপুরি একটা আধপাগলা দুরন্ত কিশোর।

জীবনে তখন সোশ্যাল মিডিয়ার প্যারা নাই। পড়াশোনার সময় বাদে, আমার অবসর সময়টুকু কেটে যেত গল্পের বই পড়ায় – সারাক্ষণ যেন মাথার ভেতর কল্পনার নৌকা বেয়ে চলেছি।

নিজের পছন্দের লেখকদের সাথে দেখা করার সুযোগ খুব একটা ছিলো না – ফেসবুক নাই, ইন্সটা নাই – অনলাইন বলেই কিছু নাই। সারা বছর অপেক্ষা করে থাকতাম – কখন বইমেলা আসবে। নতুন বইয়ের সাথে, গল্প বলার মানুষটার সাথেও দেখা হবে।

আমি এখন যখন, আমার বাসার বইয়ের লাইব্রেরী থেকে মাঝে মাঝে পুরনো দু একটা বই নামিয়ে নেই – এক ঝটকায় যেন পৌঁছে যাই – সেই সময়টাতে।

গতকাল, কি মনে করে যেন “কৃষ্ণপক্ষ” বের করলাম। কাভার উল্টাতেই দেখা মিলল হুমায়ূন স্যারের দেয়া অটোগ্রাফ। সেখানের সালটা দেখে থমকে গেলাম – ৯২। কতো কিছু যে মনে পড়ে গেলো।

আমাদের মালিবাগের বাসা, স্কুল, নব্বইয়ের ঢাকা, বইমেলা, কনসার্ট, আর ভালোলাগার ভালোবাসার পরিচিত কিছু চেনা মুখ।

বইয়ের ভেতরের একটা অটোগ্রাফ, শুধুই একটা স্বাক্ষর না – ধারণ করে রাখে, কোন একটা দশক।

আর, কখনো কখনো কারো জন্য পুরো একটা জগৎ।
.
.

লেখাটা প্রথম পোস্ট করেছিলাম ফেসবুকে –


মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন
২৫ মার্চ ২০২৪
ঢাকা

আমি যেহেতু ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফলিত রসায়নের স্টুডেন্ট ছিলাম, তাই হুমায়ূন আহমেদকে স্যার বলে ডাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়।

আমার ডাকনাম “সুমন”, অটোগ্রাফে সেই নামটাই দিয়েছিলেন উনি।

অটোগ্রাফ - হুমায়ূন আহমেদ - Autograph - Humayun Ahmed
কৃষ্ণপক্ষ - হুমায়ূন আহমেদ - krishnopokkho - Humayun Ahmed
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন

কবি, কথাসাহিত্যিক ও ছোট গল্পকার

 ফ্রি ই-বুক

রোম্যান্টিক উপন্যাস

সোশ্যাল মিডিয়া লিংক